বহিষ্কৃতরা সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হয়েও অত্র পরিষদের ৭টি সভার মধ্যে অর্থাৎ ১৫ তম সভা ব্যতিত বাকি ১১ থেকে ১৪তম সভা এবং ১৬ ও ১৭ তম সভায় তারা অনুমতি ব্যতিত অনুপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন ১টি সভায়ও অংশ গ্রহণ করেননি। ১৬ ও ১৭তম সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত না মেনে এবং ১৮তম সাধারণ সভায় তাদেরকে সতর্ক করা হলেও প্রতিবেদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মেনে চলেননি। এতে সাংবাদিক সমিতি মনে করে যে, সমিতির ঐক্যকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে।
১৮তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দপ্তর সম্পাদক কাজ না করে বরং ১৩ এপ্রিল ২০১৭তে উপাচার্যের কার্যালয়ে সমিতির এক উর্ধ্বতন কর্মকতার সাথে অসাদাচরণ করেছেন। এতে বহিষ্কৃত অন্যরা সহায়তা করেছেন। সমিতি ১৯তম সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এক আন্দোলনের ডাক দিলে সমিতিকে অবহিত না করে তারা গোপনে সমঝোতা করেছেন। ১১তম জরুরী কার্যনির্বাহী পরিষদের সভার (২৩ জুলাই, ২০১৭) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংবাদিক সমিতির বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদানের জন্য একটি সংগঠনের তৎসময়ের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও তারা সমিতির অন্য সংবাদকর্মীদেরকে ঐ সংবাদ পরিবেশনের জন্য গোপনে প্ররোচিত করেছেন।
সমিতি ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ না করে যেমন–১ জুন, ২০১৭ তারিখে ইফতার অনুষ্ঠান, ১৩ আগস্ট, ২০১৭তে মানববন্ধন, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭তে আনন্দ ভ্রমন, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭তে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮তে ওয়েবসাইট উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে যোগদান না করে সমিতির বিরুদ্ধাচারণ করেছেন। এ ছাড়াও সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত না মেনে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েও সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করেছেন।
ধারাবাহিকভাবে সমিতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে ভ্রান্ত ও হীন উদ্দেশ্যমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা সংগঠনের ঐক্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্থি কাজ করেছেন।
তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির গঠনতন্ত্রের ২ ধারায় বর্ণিত আদর্শ ও উদ্দেশ্য লঙ্ঘন করেছেন এবং ৪ (খ), (গ), (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘঠিত করেছেন।
অতএব গঠনতন্ত্রের ১৯ (গ) ধারায় প্রাপ্ত ক্ষমতা বলে ২২তম জরুরী সাধারণ সভার (০৭ মার্চ, ২০১৮) সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে বহিষ্কার করা হ’ল।